চার দফা দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সড়ক ও প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন মালয়েশিয়া যেতে না পারা আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি প্রায় ১৮ হাজার লোক মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিলেও সিন্ডিকেটের কারণে তারা যেতে পারছেন না।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা দেড়টায় প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। তারা ঘোষণা দেন, সরকার আশ্বাস দিলে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যাবেন। না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১। গত ২০২৪ সালের ৩১ মে সিন্ডিকেটের কারণে যারা মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, সে সংখ্যা যতই হোক ২০ হাজার কিংবা ৩০ হাজার, সবাইকে মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২। ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে আটকে পড়া সকল কর্মীকে মালয়েশিয়া নিয়ে যেতে হবে।
৩। যাদের ভিসা হয়েছে কিন্তু ম্যানপাওয়ার হয়নি, তাদের সমান অধিকার দিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
৪। সরকারকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার দিন ও তারিখ ঠিক করতে হবে।
এর আগে, বুধবার সকালে আন্দোলনকারীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সড়কে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেন। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা কারওয়ানবাজার থেকে মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে আসেন এবং সড়ক অপরাধ করেন।
এসময় মো. সাব্বির নামের এক ভুক্তভোগী মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে টাকা দিয়ে বসে আছি কিন্তু আমাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এজেন্সির কাছে গেলে তারা টালবাহানা করে। তাই আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা না করলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করব না। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আশ্বাস পেলে আমরা রাস্তা ছেড়ে চলে যাব। তা না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





























