• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মগবাজার ফ্লাইওভারে নান্দনিক চিত্রকর্ম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম
মগবাজার ফ্লাইওভারে নান্দনিক চিত্রকর্ম

পোস্টার-ব্যানারের দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে শিল্পীর হাতের নান্দনিকতার ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর মগবাজার উড়ালসেতুতে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে সেতুর পিলারগুলোতে শিল্পিরা তুলে ধরেছেন দেশীয় নানা সংষ্কৃতি ও শিক্ষণীয় বিষয়।

ডিএনসিসির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। তাদের দাবি, দৃষ্টিনন্দন এ গ্রাফিতি শহরের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কয়েকগুন। অন্য ফ্লাইওভারগুলোতেও এমন গ্রাফিতি আর্ট করা হলে পুরো শহরই যেন পাল্টে যাবে।

সরেজমিনে মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগে পিলারগুলোতে যেমন পোষ্টারের আবর্জনা ছিল, এখন সেটা নেই। প্রতিটি পিলারে শিল্পীর নিখুত হাতে শোভা পাচ্ছে গ্রাফিতি আর্ট। পিলারে আঁকা এসব চিত্রকর্মে রয়েছে শিক্ষণীয় নানা বার্তা। এর মধ্যে আছে হর্ন বাজানো নিষেধ, শহরটাকে ভালোবাসি, দেশটাকে ভালোবাসি, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই।

মগবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করেন আলী হোসেন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর থেকে পিলারগুলো ছিল রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের পোষ্টার ব্যানারের দখলে। কিছুদিন আগে ডিএনসিসি মেয়র এখানে ফ্লাইওভারের পিলারগুলোতে আকর্ষণীয় গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রম শুরু করেন। গ্রাফিতি আর্টে এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কয়েকগুন।” আলী হোসেনের অনুরোধ এই সুন্দর পিলারগুলোতে কেউ যাতে পোস্টার লাগাতে না পারে।

মগবাজার সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার। ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি আর্ট নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “রাজধানী অন্যান্য এলাকার চেয়ে এই ফ্লাইওভার একটু ব্যতিক্রম। এখানকার পিলারগুলোতে নোংরা পোষ্টার নাই। পিলারগুলোতে যেভাবে গ্রাফিতি আর্ট করা হয়েছে তা সবার নজর কাড়ে।”

রাজধানীর ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার লাগানো ঠেকাতে গ্রাফিতি আঁকার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শহরের নামি রিকশা পেইন্টাররা গ্রাফিতি এঁকেছেন। প্রাথমিকভাবে মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের মগবাজার অংশে কয়েকটি পিলারে এরই মধ্যে গ্রাফিতি আর আলপনা আঁকা হয়েছে।

Link copied!