• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপির গণ-অবস্থানের দিন সমাবেশ করবে আ.লীগ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম
বিএনপির গণ-অবস্থানের দিন সমাবেশ করবে আ.লীগ

রাজধানীসহ সারা দেশে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এদিন পাল্টা কর্মসূচি না দিলেও অলিগলি-গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে আওয়ামী লীগ। এছাড়া সকাল থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের মিছিল ও ‘সতর্ক পাহারায়’ থাকতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত বিএনপির গণসমাবেশ এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের দিনও আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে মাঠে ছিল। তবে এ দফায় আক্রমণাত্মক নয়, বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য মাঠে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। বুধবার বিএনপির গণ-অবস্থান ঢাকার কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়েছে ক্ষমাতাসীন দলটি। এ জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ মিরপুরে এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় জমায়েত হবেন এবং মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে আসবেন। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যে রাখার কথা রয়েছে। 
এসব কর্মসূচি সফল করতে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছেন মহানগর নেতারা।

মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, অনেকটা ৩০ ডিসেম্বরের মতো রাজপথে উপস্থিতি রাখতে চান তারা। বিএনপির জমায়েত বড় না হলে কিংবা বিএনপি টানা অবস্থানের দিকে না গেলে আওয়ামী লীগ স্বাভাবিক মিছিল-সমাবেশ করবে। পরিস্থিতি ভিন্ন হলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ড আমাদের সতর্ক অবস্থান নিতে শিক্ষা দিয়েছে। তারা যখনই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে যাবে, আমাদের নেতা-কর্মীরাও প্রস্তুত হয়ে যাবে। বুধবারও আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব।”

ইতোমধ্যে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে নির্দেশনা দিতে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে ঢাকা মহানগরের দুই অংশের নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। সেই আলোকে বুধবার বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির দিন নিজেদের কর্মসূচি তৈরি করেছে।

এদিকে বুধবার কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিএনপি আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের জনগণের প্রতি আস্থা আছে বলেই জনগণ আগামীতে নৌকাকে বিজয়ী করবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিনের মধ্যে দিয়ে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তা প্রমাণিত হয়েছে।”

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে বলা যায় ‘সতর্কতা’। এর মাধ্যমে বিএনপিকে কিছুটা চাপে রাখাও লক্ষ্য। ১৪ জানুয়ারি ঢাকা সফরে আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ফলে এর আগে সরকার ঝামেলায় জড়াতে চায় না। আবার বিএনপিকে রাজপথে বড় কিছু করতেও দেওয়া হবে না।”

গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা গণমিছিল কর্মসূচির দিন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ‘সতর্ক পাহারার’ নামে রাজধানীর ১১টি স্থানে সমাবেশ-মিছিল করেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ভাগ হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। ৩০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বড় কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। এ সময় আওয়ামী লীগেরও রাজপথে কোনো কর্মসূচি ছিল না।

বুধবার রাজপথের বিকরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপির গণ-অবস্থানের দিন রাজপথে কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দুইজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে চাপে রাখার কারণে দলটি ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে পারেনি। একই কৌশল ৩০ ডিসেম্বরও কাজে লেগেছে। এখন পর্যন্ত যে নির্দেশনা, তাতে ভবিষ্যতে বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ।”

Link copied!