রাজধানীতে সপ্তাহের ব্যবধানে দফায়-দফায় ডিমের দাম বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পরিবারের খাবার খরচ কমাতে যারা ডিম খাচ্ছিলেন, তাদের ঘাড়ের বোঝাটা আরও একটু ভারী হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫৫ এবং প্রতি ডজন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনদিন আগে ডিম প্রতি ডজন ছিল ১৫০ টাকা। আর ছয়দিন আগে ছিল ১৪০ টাকা।
এছাড়া হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ এবং প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পনের দিন আগে হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৬০ এবং প্রতি ডজন ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ফার্মগেট থেকে আসা পঙ্কজ রোজারিও বলেন, “ডিম ১৬০ টাকা ডজন হয়ে গেছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য না। গত সপ্তাহে কিনছি ১৩৫-১৪০ টাকায়। আজকে কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাড়িতে ছোট ছেলে আছে। ওর জন্য প্রতি সপ্তাহে ডিম ১ ডজন করে ডিম কিনে রাখি। আজকে ১ ডজন আর কেনা হবে না। অর্ধেক (৬টি) কিনতে হবে। সকলেই ডিম খায়। এভাবে চলতে থাকলে ডিম কেনা মুশকিল হয়ে দাড়াবে।”
দিলুরোড এলাকার ইউনুস আলী হাওলাদার বলেন, “ডিমের দাম অসম্ভব হারে বেড়েছে। আগে ডজন ধরে কিনতাম, এখন হালি ধরে ডিম কিনতে হয়। দুই-তিন দিনে ডিমের দাম দুইবার বেড়েছে। ডিম নিম্ন থেকে উচ্চ আয়ের মানুষ সকলেই খায়। দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়ে।”
খুচরা ডিম বিক্রেতা মুঈউদ্দীন বলেন, “ডিমের দাম আবার বাড়ছে। আমাদের করার কিছু নাই। আমরা দুই টাকা লাভের আশায় ব্যবসা করি। মহাজন বলে ডিম কম আসছে, তাই ডিমের দাম বেশি। আর সরবরাহ কম থাকায় অর্ডার (ফরমায়েশ) দিয়েও ডিম পাই না। কম নিতে হয়।”
মজিবর রহমান নামের এক ডিম বিক্রেতা বলেন, “ডিমের সরবরাহ কম থাকায় ডিমের দাম বাড়ছে। দাম বৃদ্ধিতে আমাদের লাভ কিংবা ক্রেতা কোনোটাই কমে নাই। ক্রেতা আসছেন আর আমাদের লাভও হচ্ছে। তবে হ্যা, ডিমের বিক্রি কমে গেছে। আগে যে মানুষ এক হালি ডিম কিনত। দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন হয়তো তিনি ২টা কিনছেন।”





























