তামাকমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) একটি প্রতিনিধি দল পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে স্বাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
এম এ মান্নান বলেন, “তামাক ক্ষতিকর তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। তামাক নিয়ন্ত্রণ একটি জনকল্যাণমূলক কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। এ উদ্যোগে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।”
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, “নানা মহল থেকে বলা হচ্ছে যে, কেন সরকার বহুজাতিক তামাক কোম্পানি থেকে সরে আসছে না। আমি বলবো,সরকার প্রধান এ বিষয়ে অবগত এবং সে অনুসারে কাজ চলছে। কারণ,তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য থেকে রাজস্ব আহরণের বিষয়ে একটা অপরাধবোধ কাজ করে।”
ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। কিন্তু, তামাক কোম্পানিতে সামান্য শেয়ার ও তাদের পরিচালনা পর্ষদে সরকারের প্রতিনিধিত্ব ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। যা সরকারের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপসমূহকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণার বিপরীতে প্রতিবন্ধকতা। সরকারের এ অবস্থান থেকে সরে আসা প্রয়োজন।”
প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক (তামাক নিয়ন্ত্রণ) সাগুফতা সুলতানা, মানসের প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর সালমা পারভীন, প্রজেক্ট অফিসার মো. আবু রায়হান, এইড’ এ্যাডমিন অফিসার নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।
আলোচনা শেষে মানস প্রকাশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ‘পলিসি ব্রিফ’ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ড. অরূপরতন চৌধুরী।






























