গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, “এফডিসির নতুন ভবনে একটি জায়গা রয়েছে। সেখানে দেশের গুণী শিল্পী, গীতিকার, সুরকারদের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ করা হবে। সেখানেই গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সৃষ্টিও সংরক্ষণ করা হবে।”
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গাজী মাজহারুল আনোয়ার ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের সংস্কৃতাঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হতো।”
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এফডিসিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে হবে দ্বিতীয় জানাজা। বনানীতে হবে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফন।
এর আগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কিংবদন্তিতুল্য গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম গান লেখেন ১৯৬৭ সালে, আয়না ও অবশিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য।
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েক হাজার গান রচনা করেছেন। ২০০২ সালে গীতিকবিতায় অবদান রাখার জন্য একুশে পদক লাভ করেন তিনি। গত বছর পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক। এছাড়া পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এই গুণী মানুষ।
বিবিসি বাংলার তৈরি করা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় ঠাঁই পায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা তিনটি। তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি।































