ঢাকায় বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান জোরদারের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রণীত কর্মপরিকল্পনা মোতাবেক ৫ এপ্রিল হতে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে মাত্র ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকায় মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার ফলে এ বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুসারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান এনডিসি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখার যুগ্মসচিব শামিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ছাড়াও এসময় ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, “পরিবেশের সুরক্ষা করা এখন সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি। অতিরিক্ত দূষণ ও স্বাস্থ্যগত কারণে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমপরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতা হারায় দেশ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং জনগণকে একটি নির্মল ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।”
তিনি এ সময় সকল প্রকার অনুরাগ ও বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, “মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। পেশাগত জীবন ছাড়াও ব্যক্তিজীবনেও আমাদের সবাইকে পরিবেশ সংবেদনশীল হতে হবে।”