বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীতে একের পর এক বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এসব নাশকতা ঠেকাতে স্টপেজগুলোতে বাসের ও যাত্রীদের ছবি তুলে রাখাসহ সংশ্লিষ্টদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি নির্দেশনা-
১. স্টপেজগুলোতে বাসের এবং যাত্রীদের ছবি তুলে রাখতে হবে।
২. স্টপেজ ছাড়া কোনো যাত্রী উঠানামা করবে না।
৩. কন্ডাক্টর যাত্রীদের সচেতন করবেন।
৪. রাতে বিচ্ছিন্নভাবে বাস পার্কিং না করে, কোনো উন্মুক্ত স্থানে একত্রে একাধিক বাস রেখে নিজস্ব প্রহরার মাধ্যমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. ড্রাইভার ও হেলপার কখনই একই সঙ্গে বাস রেখে খেতে বা বিশ্রামে যাবেন না।
৬. নাশকতাকারীর তথ্য প্রদানকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কার রয়েছে।
৭. হেলপার ও অতিরিক্ত ব্যক্তি ছাড়া ড্রাইভারকে একা বাস পরিচালনা করতে দেওয়া যাবে না।
৮. রাতে বাসে বা পরিবহনের মধ্যে ঘুমানো যাবে না, অন্তত একজনের মাধ্যমে হলেও প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. বাসের দুই দরজা থাকলে পেছনের দরজা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
১০. মালিকপক্ষ থেকে ড্রাইভার ও হেলপারদের অবশ্যই নিরাপত্তা সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে এবং যাত্রীদের জন্য সর্তকর্তামূলক স্টিকার বাসে লাগিয়ে দিতে হবে।
এর আগে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকারে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ মহিদ উদ্দিন জানান, নাশকতা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশ নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করবে। তবে নতুন সেই পদ্ধতি কী সেটা তিনি তখন পরিষ্কার করেননি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নাশকতা প্রতিরোধে আমরা আরও কিছু পদ্ধতি আজ থেকে শুরু করব। এতে যারা যাত্রীবেশে বাসে আগুন দিচ্ছে তাদের আসাটা আরও কঠিন হবে। আর এসব নিষ্ঠুর কাজের জন্য দেশের প্রচলিত আইন খুবই কঠোর। নাশকতাকারীরা এমন কার্যক্রম বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠিন প্রয়োগ করা হবে।
আইনের মধ্য থেকে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যেসব প্রচলিত আইন আছে সেগুলোকে কঠিনভাবে প্রয়োগ করা হবে। আর দেশের প্রচলিত আইনেই বলা হয়েছে আইনের কখন কোন পদক্ষেপটি আইনসম্মত। আমরা আইনের কঠোর প্রয়োগ করব। কেউ যদি কোনোভাবে নাশকতা করতে চায় অথবা জীবন এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, তাদের ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে।