• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩০, ২৩ রজব ১৪৪৬

হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে সিকদার ভাইদের অব্যাহতি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১, ০৯:০৮ এএম
হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে সিকদার ভাইদের অব্যাহতি

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার। মামলায় তথ্যগত ভুল থাকায় তাদের অব্যাহতি দেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন মামলার বাদী ও আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। বাদী আদালতকে জানান, আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে তার কোনো আপত্তি থাকবে না। এরপর আদালত আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে ২৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক মো. রিপন উদ্দিন ঢাকার সিএমএম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে জানান, উভয় পক্ষ আদালতের বাইরে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন। আদালত খুললে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, “উভয় পক্ষ ৮ জুলাই একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি নিজেরা আদালতের বাইরে সমাধান করবে।”

ওই চুক্তির একটি অনুলিপি তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জমা দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, “এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে।” 

চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে ফেরার সময় হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন রন হক শিকদার। বাবার মৃত্যু খবরে দেশে ফিরছিলেন তিনি। তবে সেই দিনই ঢাকার সিএমএম আদালত তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন। 

গত বছরের ১৯ মে এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম একটি মামলা করেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রন হক ও তার ভাই দিপু হক এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হোসেনকে হত্যার চেষ্টা করেন। 

মামলায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আরও উল্লেখ করে, নির্যাতনের একপর্যায়ে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সিকদার গ্রুপ ব্যাংকটির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব দিলে এর বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। 

Link copied!