• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০, ২৫ রমজান ১৪৪৬

‘শিগগিরই ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০৩:১৭ পিএম
‘শিগগিরই ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে’
ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে সম্প্রতি পূজামণ্ডপে সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।”

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, “কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। জবানবন্দিতে রংপুর ও নোয়াখালীর ঘটনায় ইন্ধনদাতাদের নাম বলেছে গ্রেপ্তারকৃতরা। তবে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে আপনাদের সামনে নাম প্রকাশ করবো। তবে সেখানে বিএনপি-জামায়াত আছে কি না সেটা এখনই বলতে চাচ্ছি না।”

মন্ত্রী বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন, এ দেশ সবার। এ দেশে ধর্ম নিয়ে বৈষম্য হবে না। এ দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। আমরা সেই আদর্শই ধারণ করে চলেছি। কিন্তু ইদানিং দেখি, পূজামণ্ডপে সহিংসতা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে কে বা কারা কোরআন শরিফ রেখে দিয়ে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। একটা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা এ ঘটনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম, আমাদের পুলিশের সব পর্যায়ের টিম সেখানে পাঠিয়েছিলাম, যাতে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হয়। আমরা দেখলাম, মসজিদের পাশে একটা পুকুরে মাছ চাষ হতো। মাছ চাষি মসজিদের বারান্দায় একটা ক্যামেরা বসিয়েছেন। যেখানে পরিষ্কার দেখা গেছে, কেউ মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে হনুমানের গদার স্থানে রাখে, পরে গদা নিয়ে বেরিয়ে এলেন। এদিকে যখন এ ঘটনা সবার সামনে চলে এলো, তখন তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি, তার নাম প্রকাশ করেছি। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

আসাদুজ্জামান খান বলেন, “আমাদের ধারণা ছিল, জুম্মার নামাজের পর অসুবিধা হতে পারে। আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বলেছিলাম, তার আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেবেন এবং তারা তা করেছেন। আমাদের নামাজও ঠিকভাবে শেষ হলো। কিন্তু দুই ভাগে বিতর্ক শুরু হলো। একপক্ষ পুলিশের সামনে হইহুল্লোড় শুরু করলো। আরেকপক্ষ পুলিশকে ব্যস্ত রেখে ধ্বংস যজ্ঞ চালালো। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলো। সেখানে বেশ কিছু ভাঙচুর হয়েছে। ওই সময় পুকুরে ঝাপ দেওয়ায় একজন মারা গেছেন।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এ সহিংসতার ঘটনা সুপরিকল্পিত। এর মধ্যে দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে একটি মহল। খুব শিগগিরই কারা এসব ঘটিয়েছে তা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।”

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিইল্লাহ সুমন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, শাহজাহান মোল্লা, হাসিফ মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন রাকিব।  

Link copied!