রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার প্রত্যয় ব্যক্ত হয় এই র্যালি থেকে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে থেকে এ র্যালিটি বের হয়ে শাহবাগ চত্বর, কাঁটাবন, সায়েন্সল্যাব, সিটি কলেজ, কলাবাগান হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় র্যালির নেতৃত্ব দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও এক দিন পর শুক্রবার এই আনন্দ র্যালি বের করা হয়। রাজধানীতে যানজট পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যই র্যালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ র্যালি ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ৷
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগের নেতাকর্মী সমর্থক একের পর এক মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকে। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা৷
নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা বহন করে৷ রং-বেরঙের বিভিন্ন সাজে সেজে র্যালিতে অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এ র্যালিতে ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মন্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল ও মো. বদিউল আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
এছাড়া র্যালিতে আরও অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি সান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু ও মাকসুদ।
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মণি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।