বাংলাদেশকে কৃষিজমি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মধ্য আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধিদল। জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই প্রস্তাব করে দেশটি। দেশটি চায়, বাংলাদেশ সেই জমি ব্যবহার করে কৃষিপণ্য উৎপাদন করুক। বিষয়টি আরও গভীরভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষি—এই তিন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে বিষয়টি দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধিরা বলেছেন, তাদের দেশে অনেক জমি পতিত পড়ে আছে। বাংলাদেশ চাইলে এই জমি কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারে। বাংলাদেশ আগ্রহ প্রকাশ করলে তারা জমি দেবে। সে জন্য পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষি তিন মন্ত্রণালয়কে একত্রে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশটিতে কৃষিপণ্য উৎপাদন করলে সেখানকার স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যাবে, বাইরের অন্যান্য দেশে রপ্তারি করা যাবে, আবার প্রয়োজনে দেশেও আনা যাবে। কৃষিপণ্যের মধ্যে সবজি উৎপাদন করলে দক্ষিণ সুদান সেসব কেনারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”
এর আগে গত আগস্ট মাসে দেশটিতে সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ২২ আগস্ট দেশটির রাজধানী জুবায় দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কির মায়ারদিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দক্ষিণ সুদানের উন্নয়নে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন দেশটির প্রসিডেন্ট।
রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের ওপর মানুষের প্রাণহানির পর ২০১১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিতি পায় দক্ষিণ সুদান। ওই বছরের ৯ জুলাই জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৩তম দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে দেশটি। ৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে ১ কোটি ১০ লাখের কিছু বেশি।