সংগীতময় বর্ণিল আয়োজনে আবারও মুখরিত ছায়ানট। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে সূচনা হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯-এর অনুষ্ঠান। এর পরপরই পরিবেশন করা হয়েছে সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে’।
করোনার কারণে দুই বছর বাঙালি নতুন বছরকে আবাহন চানাতে পারেনি। এবার তাই নব উচ্ছ্বাসে জেগেছে বাঙালি নবপ্রাণে।
এদিকে নতুন বছরকে বরণে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগও। মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে বরণ করা হবে বাংলা বছরের প্রথম দিন। এছাড়াও দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হবে।
ছায়ানটের বর্ষবরণে থাকছে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান রয়েছে। সঙ্গে থাকছে আবৃত্তি-পাঠও।

১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই থেকে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ।
সাধারণত নববর্ষে পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম দেশি খাবারের আয়োজন থাকে। এবার পবিত্র রমজানে দিনের বেলায় এসব খাবারের আয়োজন থাকছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এবার বেলা দুইটার মধ্যে পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে বলা হয়েছে। বেলা একটার পর উৎসব এলাকায় কাউকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    




























