স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হলো বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে রাতে তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবীর খান।
এছাড়া শায়রুল কবীর বলেন, “খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিকেল বোর্ড। এ সময় তিনি কেবিনে অবস্থান করবেন।”
এদিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “ম্যাডামের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। এজন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের ব্লক-বি’র ৭২০৫ ও ৭২০৪ নম্বর কেবিন বুকিং দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিকেল পৌনে ৬টায় হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। গুলশানের বাসভবন থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ২৫ অক্টোবর তার ছোট একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর করা হয় বায়োপসি।
টানা প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে তিনি আবার ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে তার করোনা মুক্তির খবর দেওয়া হয় ৯ মে। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। এর ১৬ দিন পর বাসায় ফেরেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।