বিএনপির মহাসচিব বেপরোয়া টাইগার হয়ে গেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আগুন নিয়ে আসবেন না বলে দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন।”
তিনি আরও বলেন, “আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান তাহলে বলব, জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে।”
শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
একই সঙ্গে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে কাদের বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের বলব প্রত্যেককে তাদের কথাবর্তায়, আচার-আচরণে সংযত হতে হবে। এ সময় দায়িত্বহীন কথা বলা ঠিক নয়। ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে শেখ হাসিনার ঘুম নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিশ্বে জ্বালানিসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
মন্ত্রী বলেন, “সারা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা জানি বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। আমরা বলতে পারি এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের চেষ্টার ত্রুটি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ঘুম নেই। তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিরা থাইল্যান্ডে নিরাপদে পালিয়ে যায়। কে পাঠিয়েছিল? জিয়াউর রহমান। খুনিদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। মোশতাকের দেওয়া ইনডেমিনিটি অর্ডিন্যান্স পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আইনে পরিণত করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না হয়। এ ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।”
কাদের বলেন, “বিএনপির সঙ্গে আমরা শত্রুতা করিনি। ইতিহাস বলে তারাই আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। বারবার করেছে।”
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের সহসভাপতি শামসুর নাহার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রহিমা আক্তার সাথী প্রমুখ।



































