রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ হামলার পাঁচ বছর পূর্ণ হল আজ। ২০১৬ সালের এই দিনে হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর মধ্যে ১৮ জনই ছিলেন বিদেশী নাগরিক। হামলার পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালিত হয়। ওই সময় অন্তত ৩৫ জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার তদন্তভার পায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। হামলায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে পাঁচ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয় আরও আট জন। বাকি আট জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিটিটিসি ইউনিট। প্রায় দেড় বছর বিচারকাজ শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। খালাস পায় একজন।
রায়ের পর আসামিদের সবাই জেল আপিল করেন আর খালাস মিজানের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু সেখানেই থেমে রয়েছে মামলার কার্যক্রম। ১৯ মাস পেরিয়েও বিচারিক কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতি নেই। সবে মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পেপারবুক তৈরি হয়েছে, যা হাইকোর্টে উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত বেঞ্চ নির্ধারণ না হওয়ায় কোনো শুনানি করতে পারেননি আদালত।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, “সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যেসব জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, তাদের বড় ধরনের হামলার সাংগঠনিক সক্ষমতা নেই।”
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, “জঙ্গি প্রচার কৌশল বা প্রশিক্ষণ সবকিছুই অনলাইন নির্ভর। এবং সেই সাইবার স্পেসও আমরা মনিটরিং করছি। তাদের রেডিক্যালাইজড কনটেন্ট আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াসহ তাদের এনক্রিপটেড যে অ্যাপ আছে, সেখানে যাতে তাঁরা পোস্ট করতে না পারে, সে বিষয়েও আমরা বিটিআরসির সঙ্গে কাজ করছি। আমরা তাদের থেকে এগিয়েই আছি। তারা কোনো প্ল্যান করার আগেই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”