জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, “করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে।”
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ হোসেন।
তবে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে আবারও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে শতভাগ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এছাড়া পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিনোদনকেন্দ্রগুলোর আসনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ১৯ আগস্ট থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
নতুন শর্তগুলো হলো
১। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
২। পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
৩। সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ৮ আগস্ট কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপনে ১১ আগস্ট থেকে আসনসংখ্যার শতভাগ যাত্রী নিয়ে অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিং মল ও আসনসংখ্যার অর্ধেক ব্যবহার করে খাবার দোকান, রেস্টুরেন্ট ও হোটেল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।