• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

পরবর্তী কমনওয়েলথ সভার সভাপতি অর্থমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০৩:৪০ পিএম
পরবর্তী কমনওয়েলথ সভার সভাপতি অর্থমন্ত্রী

কমনওয়েলথ ফিন্যান্স মিনিস্টারস মিটিংয়ে (সিএফএমএম) ২০২২ সালের সভার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় মালয়েশিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও ব্রুনেইয়ের সমর্থনে সভায় তাকে সভাপতি নির্বাচিন করা হয়।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আইএমএফের বার্ষিক সভার সাইড লাইনে কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের অর্থমন্ত্রীরা ও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। 

এই সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডসহ সভায় যুক্ত প্রতিনিধিরা টেকসই ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঋণ, বৈশ্বিক ন্যূনতম ট্যাক্স চুক্তি এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় ঋণ এবং কমনওয়েলথ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাক্সেস হাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশক গড়ে ৭.৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এমনকি করোনা মহামারিতেও গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতি দেশের মধ্যে রয়েছে। গত মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২১ এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে।”

মুস্তফা কামাল আরও বলেন, “কমনওয়েলথের একটি গৌরবময় অতীত আছে। ১৭৬৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বাষ্প ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রথম শিল্প বিপ্লবের যাত্রা, যা সত্যিই বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখা জ্বালিয়েছিল। ১৭৭১ সালে কারখানা বলতে যা বোঝায় সেটি প্রথম যুক্তরাজ্যের ডার্বিশায়ারের ক্রমফোর্ড নামক গ্রামে নির্মিত হয়েছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে কমনওয়েলথভুক্ত ভারত উপমহাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্ত-কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উত্তমচর্চা শেয়ারের মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো অধিকতর আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে।”
 

Link copied!