সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি এ নির্দেশনা দেন।
এ সময় পুলিশের সব মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, “পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় পূজা চলাচলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্যও পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।
এছাড়া কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন বেনজির আহমেদ।
বেনজির আহমেদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে দেশে সমানভাবে সবার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বেড়েছে। ফলে প্রতি বছরই পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।”
এ সময় সভায় অংশগ্রহণকারী পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আইজিপিকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে পূজার আইনশৃঙ্খলা মনিটরিংয়ের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অন্যান্য ইউনিটে মনিটরিং সেল কাজ করবে।
এ সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতা, রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিনিধি, এনএসআই, ডিজিএফআই এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে দেশে ৩১ হাজার ১৩৭টি পূজামণ্ডপে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজা শেষ হবে।