করোনাকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন রবিন। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তার শ্বশুর-শাশুড়িও। তাদের পুরো পরিবার মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিন ও তার শাশুড়ি আরাফা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানায় ডিএনসি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মেয়ের জামাই মো. রবিন (২৯) ও তার শাশুড়ি আরাফা বেগম (৩৭)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৭০ গ্রাম ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস এবং ছয় হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান।
উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তার রবিন ও তার শ্বশুরবাড়ির সবাই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এলিফ্যান্ট রোডের আলপনা প্লাজায় কাপড়ের দোকান ছিল রবিনের। করোনায় ব্যবসা বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে তিনি মাদক কারবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। রবিনের শ্বশুর নুরুল হুদা দুই মাস আগে চট্টগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে। এছাড়া রবিনের স্ত্রীও একজন মাদকসেবী।”
উপ-পরিচালক বলেন, “টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে কুরিয়ারে তাদের কাছে আইস ও ইয়াবা এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। দুই বছর ধরে তারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলেও কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেছেন।”
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।