চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। প্রতিবেদনে পরীমনির ব্যবহৃত ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ারও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
রোববার (২৬ সেপ্টম্বর) আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী।
নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী জানান, সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পরীমনির ব্যবহৃত ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, এসব আলামত ফেরত দিলে মামলার তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীমনির ব্যবহৃত সাদা হ্যারিয়ার গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে বিচারক গাড়ির মালিকানা যাচাইয়ের জন্য বিআরটিএকে এবং অন্যান্য জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে পরীমনি ও তার ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আটক করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে আইস, এলএসডিসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া যায় বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট পরীমনিকে বনানী থানায় হস্তান্তর করে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। মামলা করার পর আদালতের মাধ্যমে পরীমনিকে তিন দফায় সাতদিন রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২৭দিন তিনি কারাগারেও ছিলেন। পরে ৩১ আগস্ট কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান ঢাকায় চলচ্চিত্রের এই নায়িকা।