• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

এখনো বেআইনি কেমিক্যাল কারখানা রয়েছে: তাপস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১, ০৯:৩১ পিএম
এখনো বেআইনি কেমিক্যাল কারখানা রয়েছে: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, “স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুরান ঢাকায় বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা চালু রয়েছে।”

বুধবার (১০ নভেম্বর) ডিএসসিসি মেয়র নগরীর ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদবাগ ভূগর্ভস্থ পয়োনালি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএসসিসি মেয়র।

মেয়র তাপস বলেন, “পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম সরাতে সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে আর কোনো ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে যে, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে সেখানে (পুরান ঢাকায়) বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম রয়েছে।”

এ সময় পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া আগুনের উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। বিষয়টি আমি অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি। এই নিয়ে আমি শিল্পমন্ত্রীর ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভা করেছি। এগুলো দ্রুত যেন স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন তারা।”

মেয়র বলেন, “আমরা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রতিবছরই প্রাণহানি হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটছে। সুতরাং অনুরোধ করব, এ ব্যাপারে তারা যেন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।”

স্থানান্তরে ব্যাবসায়ীরাও বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘‘করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রাখা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। ‘আমরা কোথায় স্থানান্তর হব, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি’, এ রকম বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কিন্তু কঠোর রয়েছি। সুতরাং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, তারা যেন সরেজমিনে এগুলো পরিদর্শন করে এবং যেগুলো বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলো অচিরেই বন্ধ করে দেয়।”

মেয়র আরও বলেন, “আজ আমরা যে জায়গায় এসেছি, শ্যামপুর খালের এই অংশ এখনো দখল অবস্থায় আছে। আমরা তা দখলমুক্ত করব। এখানকার এই সেতুটা দীর্ঘ ৪০ বছর আগে এলজিআইডির করা। এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে, যাতে করে পানির প্রবাহটা একদম নিশ্চিত হয় ও খালটি প্রশস্ত হয়। এছাড়া এই সেতুর নিচ দিয়ে যাতে নৌকা চলাচল করতে পারে, সেই কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে।”

এর আগে মেয়র নগরীর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা। 

সূত্র: বাসস

Link copied!