করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা দেশে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও এই টিকাদান কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। ১২ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সারা দেশে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা কয়েক দফা পরিবর্তনের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও জানান, সারা দেশে ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে টিকা দেওয়া হবে।
৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে এবং ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায়, ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং ১০ থেকে ১২ আগস্ট টিকা পাবেন ৫৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা।
টিকা নেয়ার পরে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশনা দিয়ে জানায়, টিকা নেওয়ার পর কেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এই সময় যেকোনো রকম শারীরিক অসুবিধা হলে সাথে সাথে টিকাদানকর্মীকে জানান। প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
এছাড়াও টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একে অপর হতে অন্তত ৬ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় হাত বা রুমাল দিয়ে নাকমুখ ঢেকে নিতে হবে।