পরকীয়া আদতে ‘আসক্তি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান কোনো সম্পর্কে টানাপড়েন চললে মানুষ মুক্তির জন্য আবেগ-তাড়িত হয়ে অন্য কোনো সম্পর্কে জড়াতে চান। এভাবে কিছু পথ চলার পর অনেকেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। বের হতে আসতে চান পরকীয়া থেকে। তবে কেউ কেউ চাইলেও বের হতে পারেন না। কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করলে, নিজেকে এই পরকীয়া থেকে বের করে আনতে পারবেন। জানাচ্ছেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান দীনা।
সম্প্রতি সম্পর্কবিষয়ক গবেষক ডেভিস রেস ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় এ নিয়ে কথা বলেছেন। রেস বলেন, “আমি দম্পতিদের সত্য কথা বলি। যিনি প্রতারণা করছেন, তাকেও সত্যটা দেখাই এবং যাকে প্রতারণা করা হচ্ছে, তাকেও সত্য বলি। যখন কেউ পরকীয়ায় জড়ান, তখন তার মনে হয়, আমি আমার স্ত্রী বা স্বামীকে আর ভালোবাসি না! অথচ মনের মধ্যে ভালোবাসা কিন্তু থেকেই যায়। আমি সেই ভালোবাসার কথাই তাদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এই ভালোবাসার জায়গাটা ধরিয়ে দিতে পারলে মানুষ আর পরকীয়া জড়াবে না। আমি সেই কাজটিই করে আসছি।”
ডেভিস রেস বলেন, একসময় আমিও পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলাম। তখন আমি কোনো মনোবিদের কাছে যাইনি। নিজেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এজন্য যে, আমার বন্ধুরা আমাকে পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল। তারাই আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমি ভুল কাজ করছি। তারপর আমি এই নিয়ে নানা পড়াশোনা করি। বুঝি, কেবল কাছাকাছি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই এর সমাধান সম্ভব। তাই আমি দম্পতিদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সমস্যা শুনি, তারপর সমাধান দিই।
কেউ যদি নিজেকে পরকীয়া থেকে দূরে রাখতে চায়, তাহলে তিনি তার সঙ্গীকে কতটা ভালোবাসেন সেটা আগে উপলব্ধি করতে হবে। সমস্যাকে দ্রুত সমাধানের দিকে নিতে হবে। তবেই নিজেকে পরকীয়া থেকে দূরে রাখতে পারবেন।