ধৈর্য সফলতা নিয়ে আসে এটা চিরন্তন সত্য। তবে মানুষ সবসময় এই সত্যকে ধারণ করে রাখতে পারবে এটাও ঠিক নয়। কারণ পরিবেশ-পরিস্থিতি সবসময় মানুষের অনুকূলে থাকে না। তাই কখনো কখনো ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে। তাই বলে যে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বা বাড়ানো যায় না তা তো নয়। চলুন তাহলে জেনে নিই ধৈর্য বাড়ানোর কিছু উপায়-
মেডিটেশন করুন
অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মননশীলতার চর্চা করা প্রয়োজন। চোখ বন্ধ করে, গভীর শ্বাস নিয়ে মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে আপনার জন্য।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
কোনো কিছুতে হতাশা কাজ করলে তখনই এমন কিছু ভাবুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এটি আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। এতে জীবন সম্পর্কে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
মেনে নেওয়া
কখনো কখনো এমন কিছু সময় সামনে চলে আসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য কিছুই করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে, অধৈর্য হলে সমাধান হবে না। এর চাইতে বরং পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবকিছু আরও সহনীয় হবে।
ভালো শ্রোতা
অপরজনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। অন্যের কথা শেষ পর্যন্ত শোনা আপনাকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করবে।
ডায়েরি লেখার অভ্যাস
ডায়েরিতে নিজের আবেগ-অনুভূতি লিখতে রাখতে পারেন। এটি আপনাকে কাজে ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করবে ও স্থির করে তুলবে আপনাকে।
একসঙ্গে অনেক কাজ
অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে নিয়ে নিজের ওপর চাপ বাড়াতে যাবেন না। এতে অধৈর্য হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বই পড়ুন
ধৈর্য বাড়াতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পছন্দের লেখকের বই পড়ুন। এতে যেমন নিজেকে সময় দেওয়া হবে, তেমনি বাড়বে মননশীলতা।
পরিস্থিতি হালকা করা
যদি পরিস্থিতি হালকা করতে পারেন তাহলে দৈনন্দিন জীবন অনেক কম বিরক্তিকর মনে হবে। অনেক চাপের পরিস্থিতি সহজ করতে পারে হাসি ও রসিকতা। তাই কোনো পরিস্থিতিকে খুব বেশি কঠিনভাবে নেবেন না।
নিজেকে প্রাধান্য না দেওয়া
অধৈর্য হয়ে পড়া কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থপর মানসিকতা। সবারই নিজস্ব উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা এবং দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাই সবসময় নিজেকে প্রাধান্য না দিয়ে সামনের মানুষটার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। হয়তো তিনি এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন যা আপনি জানেন না।