• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক গ্রুপে কি ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
ফেসবুক গ্রুপে কি ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত
ফেসবুক খুললেই এখন চোখে পড়বে নানা গ্রুপ। ছবি:সংগৃহীত

ফেসবুক খুললেই এখন চোখে পড়বে নানা গ্রুপ। বই পড়া, রক্তদানের মতো অসাধারণ সামাজিক গ্রুপ আছে। আরও আছে মানসিক সমস্যা, আইনি সমস্যা ও ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানের বিভিন্ন গ্রুপও। একই ব্যাচের সহপাঠীরা, বিয়ের পাত্রপাত্রীর খোঁজ, পশুপাখির যত্ন, বেচা কেনা, জামাকাপড়, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা, ব্যাংকিংয়ের তথ্য আদান প্রদানসহ হাজারো গ্রুপ দেখা যায় ফেসবুকের পাতায়। এমনকি চিকিৎসকরাও এখন ফেসবুকে গ্রুপ খুলে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করছেন। অন্যদিকে ব্যবহারকারীরা নিজেদের আগ্রহের জায়গা থেকেই পছন্দের গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। গ্রুপের কার্যকলাপের সঙ্গে নিজেরাও  অ্যাক্টিভ থাকছেন।

ফেসবুকের গ্রুপে নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা খুঁজতেও অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন। এটা কতটা উচিত? আদৌ কি সমাধান মিলে, নাকি এর উল্টোটাই হচ্ছে! ফেসবুকে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যার সমাধান খোঁজার নতুন এই ট্রেন্ডে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ফেসবুকের গ্রুপে কিছু সমস্যার সমাধান মেলে। আবার কিছু সমস্যাকে আরও জটিল করে দিতে পারে।
অনলাইন মাধ্যমে একেকজনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। এখন সহজেই বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো যায়। যা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ইতিবাচকও হয়। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে সমস্যা নিয়ে খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হতে পারে। অনলাইনে আপনার সমস্যার কথা লিখে জানাচ্ছেন, এর নিচে হয়তো শ’খানেক মন্তব্য জড়ো হচ্ছে। যা অধিকাংশই ভিত্তিহীন বা কোনো কাজেরই নয়। আবার এর মধ্যে দুই একটা মন্তব্য আপনার উপকারেও আসতে পারে। যা আপনি কাজে লাগিয়ে সমাধান পাবেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্য ব্যবহারকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা আপনার সঙ্গে তুলনা করবেন বা ভাগাভাগি করবেন। যা থেকে আপনি মোটিভেট হবেন। আবার অনেক সময় নিরাশও হতে পারেন। তাই কোনো কিছুর গ্রহণ করার বিষয়টি আপনাকেই সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে।  

বিশেষজ্ঞরা জানান, ফেসবুকে নানা বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার নির্ভরশীল গ্রুপ রয়েছে। যেগুলো সহজেই আপনাকে আগ্রহী করে তুলবে। সেখানে নিজের মতো মানুষদের খুঁজে পাবেন সহজেই। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে নিজেও কিছু ইতিবাচক পরামর্শ নিতে পারেন। তাছাড়া অনলাইনে নিজের পরিচয় গোপন করে ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান খোঁজা যায়। এটি কারো জন্যে সত্যিই নির্ভরতার জায়গা হতে পারে।
তবে অনলাইন গ্রুপের ভুল পরামর্শেও আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বিষয় যেমন সঙ্গী নির্ধারণ, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, বিয়ে বা পরিবার পরিকল্পনাসহ একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও অনেকে খোলামেলা আলোচনা বা পরামর্শ করেন গ্রুপগুলোতে। সেখানে অচেনা, অনভিজ্ঞ মানুষও মন্তব্য করেন। এমনকি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেন অনেকেই। যা থেকে আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। অনেকে আবার নিজের খারাপ অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। যা থেকে আপনিও ফলাফল ব্যর্থ হবে ভেবে আগেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। এমনকি  অনেক ধরণের প্রতারণার সম্মুখীনও হতে পারেন।

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই মানসিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান খোঁজা জরুরি। অনলাইন গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল হওয়া কতটা যুক্তিসম্পন্ন হতে পারে তা নিজেই বিবেচনা করুন। তবে বিশাল প্লাটফর্মে সমাধান না খুঁজে আগে নিজের চারপাশের মানুষগুলোর কাছে সমাধান খুঁজুন। বিজ্ঞদের কাছে যেতে পারেন। যা আপনার পরিস্থিতি বুঝে ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানে পরামর্শ দিতে পারেন। মনে রাখবেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সঙ্গে নিজের বিবেককেও কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের পরিচয় হবে।

Link copied!