ঘি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ঘিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে গেলে ভিটামিনের শোষণ বৃদ্ধি পায়। ঘি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ঘিতে মাঝারি এবং শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল পদার্থকে স্বাভাবিক রাখে। নিয়মিত ঘি খাওয়ার ফলে এসব উপাদান প্রয়োজনীয় শক্তি বৃদ্ধি করে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক খাঁটি ঘি চেনার উপায়-
- খাঁটি ঘি অসাধারণ সুগন্ধযুক্ত হয়। ঘি যদি খাঁটি না হয় তাহলে সুগন্ধ থাকে না। পরীক্ষার জন্য ১ চামচ ঘি দিন গরম পাত্রে। যদি ঘি তাৎক্ষণিকভাবে গলে যায় এবং গাঢ় বাদামি রঙে পরিণত হয়, তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি ঘি। যদি গলতে সময় নেয় এবং হলুদ রং হয়ে যায়, তবে বুঝবেন ঠকেছেন আপনি।
- খাঁটি ঘি সাধারণত হালকা সোনালি হলুদ রঙের হয়। ঘি অস্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল দেখালে অথবা প্রাকৃতিক রঙের অভাব হলে সেটি খাঁটি নয়।
- ঘরের তাপমাত্রায় ঘি মসৃণ ও ক্রিমি টেক্সচারের হবে। টেক্সচার আঁঠালো হলে এটি খাঁটি নয়।
- খাঁটি ঘি পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ হয়। ১টি পাত্রে অল্প পরিমাণে গরম করুন ঘি। খাঁটি ঘিতে কোনোরকম দানাদার পদার্থ থাকবে না।
- খাঁটি ঘি ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যায় কিন্তু ঘরের তাপমাত্রায় তরল থাকে। ঘি যদি রেফ্রিজারেটরেও তরল থেকে যায়, তাহলে এতে তেল বা চর্বি থাকতে পারে।
- ঘি পরীক্ষা করার আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো হাতের তালুতে নিয়ে পরীক্ষা করা। হাতের তালুতে ১ চামচ ঘি রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি গলতে শুরু করলে বুঝবেন ঘি খাঁটি।
- একটি গরম পানির পাত্রে ঘিয়ের বয়াম ডুবিয়ে রাখুন। গলে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন ঘিয়ের বয়ামে একই রঙের জমাটবাঁধা ঘি, তবে সেটা খাঁটি। ঘিতে অন্যান্য উপাদান মেশানো থাকলে আলাদা আলাদা তেলের আলাদা স্তর থাকবে।