• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ত্বকের লাবণ্য ফেরানোর ঘরোয়া টোটকা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ১১:৪০ এএম
ত্বকের লাবণ্য ফেরানোর ঘরোয়া টোটকা

প্রতিদিন একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে ত্বকের লাবণ্য। আপনি হয়ত টেরও পাচ্ছেন না। যারা নিয়ম করে যত্ন দিচ্ছেন তাদের কথা না বললেও চলে। কিন্তু সময়ের অভাবে নিজের দিকে তাকানোরও বাস্তবতা নেই যাদের, তারা খুব কম সময়ের মধ্যেই হাতের কাছে থাকা কিছু ঘরোয়া জিনিস দিয়েই ফেরাতে পারেন হারিয়ে যাওয়া লবাণ্য ও উজ্জ্বলতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরকম কয়েকটি উপায়।

কাঁচা আলু
কাঁচা আলু ত্বকের জন‍্য অত‍্যন্ত উপকারী। আলু ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। এবার ফেস প‍্যাক হিসেবে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। আলু চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী। আলুর পাতলা স্লাইস কেটে কয়েক মিনিট চোখের ওপর রাখুন। এভাবে নিয়মিত ব‍্যবহারে ফিরবে ত্বকের লাবণ্য।

মধু এবং দারচিনি
মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ২-৩ টেবিল চামচ দারুচিনি ও ২ টেবিল চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি ব্রণ কমাতে কাজ করে। ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে।

হলুদ
হলুদে আছে অ‍্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ‍্যান্টিসেপ্টিক এবং স্কিন ব্রাইটেনিং অর্থাত্‍ ত্বককে উজ্জ্বল করার ক্ষমতা। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ট‍্যান পড়লেও কাজে আসবে হলুদ। ব্ল‍্যাকহেডস কমিয়ে ত্বকে লাবণ্য ফেরানোর পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

দুধ ও মধু
ত্বকের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে দুধ ও মধুর মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকে দ‍্যুতি ফিরিয়ে আনতে মধু এবং দুধের মিশ্রণের বিকল্প নেই। এই মিশ্রণ ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজও করে। ১ টেবিল চামচ দুধ এবং মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটিকে আপনার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে মধু এবং দুধের এই ফেস প্যাক সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

টি-ট্রি ওয়েল
টি-ট্রি ওয়েল একটি চমৎকার ময়শ্চারাইজার। টি-ট্রি ওয়েলের মতো সুগন্ধি তেলগুলো ত্বককে আরও সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তোলে। এটি এক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। গাছের পাতার নির্যাস থেকে এই তেল তৈরি হয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে মুখে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ম্যাসেজ করে নিন। এতে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ত্বক হবে নরম ও কোমল।

গোলাপ জল
গোলাপ জলে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ত্বকের লালভাব, চুলকানি এবং প্রদাহ কমিয়ে ত্বককে শীতল ও প্রাণবন্ত করে তুলবে। ত্বক থেকে সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা এবং বয়সের দাগ কমাতে পারে গোলাপ জল। রাসায়নিক অ্যান্টিএজিং ক্রিম এবং সিরামের বদলে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।

Link copied!