আমেরিকান মডেল ও সমাজকর্মী প্যারিস হিলটন বলেছেন, “কোন মানুষের চেহারা নয় বরং তার আত্মবিশ্বাস আমাদের বলে দেবে যে সে কতটা সুন্দর।” শিশুরা সুন্দর হয়েই জন্মগ্রহণ করে। আর তার বেড়ে উঠার সুন্দর পরিবেশ অভিভাবকদেরই করতে হয়।
পরিবারের অনেকের ধারনা শিশু কথা না শুনলেই তাকে ভয় দেখিয়ে কাজটি করে নিতে হবে। খেতে না চাইলে ভয় দেখিয়ে খা্ওয়ানো। পড়তে না চাইলে ভয় দেখিয়ে পড়াশোনা করতে বাধ্য করা। এসব একদমই ঠিক নয়। শিশুর মন বোঝার চেষ্টা করুন।
পরিবার কিংবা বন্ধুর সফলতার খবরে শিশু যতটা না খুশি হয় ততটা খুশি হয় নিজের চেষ্টায় সফল হয়ে। বাড়ে আত্মবিশ্বাসও। যা শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার জন্য খুব জরুরি। শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পরিবারকে সহযোগিতা করতে হবে। শিশু যা নিজে করতে চায় তাই করতে দিতে হবে। একটা সময় দেখবেন কোন কঠিন কাজের মুখোমুখি হতে শিশুর আর ভয় লাগবে না। সে চ্যালেঞ্জ নিতে শিখবে। আপনারও বাড়বে শিশুর প্রতি ভরসা।
শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চারটি উপায় নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া এক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শগুলো কী কী চলুন তা জেনে নেই।
সুন্দর মন দেখে বন্ধুত্ব
চার দেয়ালে সারাক্ষণ শিশুকে রাখা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। পড়াশোনার বাইরে টিভি কিংবা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে অতিরিক্ত তাকিয়ে থাকলে শিশুর চোখের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি মানসিকতা। তাই শিশুকে সুন্দর মনের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করিয়ে দিন। হতে পারে সে আপনার শিশুর থেকে বড় কিংবা সমবয়সী। সাহসী, সৎ ও ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে মিশলে আপনার শিশুর জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। থাকবে প্রফুল্ল।

মুখে মুখে কাজের প্রশংসা করুন
যখন আপনার সন্তান নিজেই তার হাতের কাজ করার চেষ্টা করবে সেটার প্রশংসা করুন। যদি কাজটি নিঁখুত ভাবে নাও হয় তবু ‘ভালো করছো’ সেটা বলবেন। যেমন জুতা পড়তে গিয়ে শিশু যদি অনুভব করে এটা আর পায়ে লাগছে না। তখন তাকে বলতে পারেন, ‘তুমি খুব তাড়াতাড়ি কাজটা করার চেষ্টা করছো। ধীরে ধীরে করো, পারবে।’
উৎসাহিত করুন
অবসরে সন্তানের পছন্দের জায়গায় তাকে নিয়ে ঘুরবেন। তাদের মতামতের প্রতিও হোন যত্নবান। সে যদি নতুন কিছু করতে চায় উৎসাহ দিন যদিও সেটা হোক না কেন খুব ছোট কাজ।

অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়
নিজের এক সন্তানের সঙ্গে আরেক সন্তানের কখনো তুলনা করবেন না। শুধু তাই নয় বাইরের শিশুর সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করা একদম ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা এমনটিই মনে করেন। সন্তানের যোগ্যতা যতটুকু আছে ততটুকুর প্রশংসা করুন।