• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

গোসলের সময় আপনিও কী এই ভুলগুলো করছেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম
গোসলের সময় আপনিও কী এই ভুলগুলো করছেন?

প্রতিদিন গোসল করার অভ্যাস তো রয়েছেই সবার। তবে সপ্তাহে মাত্র কয়েকবার গোসল করলেই আপনি থাকবেন সুস্থ। প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শরীর যখনই ঘামবে তখনই গোসল করা জরুরি। গোসলের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি শুষ্কতা, চুলকানিসহ ত্বকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এমনকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে গোসলের মাধ্যমে। চলুন তবে জেনে নিন গোসলে সময় যেসব যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত সেগুলো জেনে নিই—

  • গোসলের জন্য অবশ্যই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা উচিত। এই ধরনের সাবান শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুহূর্তেই ধ্বংস করে দেয়। 
  •  শরীরের বেশ কিছু স্থান আছে, যেখানে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন-বগল, হাত, পায়ের পাতা ও মুখে। কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই স্থানগুলো বেশি সংবেদনশীল। তাই এসব স্থানে সাবান ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও নিম্নাঙ্গে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • গোসলের পর শরীর মোছার জন্য সবাই তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করে থাকেন। সঠিকভাবে পরিষ্কারের অভাবে তোয়ালের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাসসহ বিভিন্ন জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। জীবাণুযুক্ত তোয়ালে নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে চর্মরোগ পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে তোয়ালে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
  • শুধু তোয়ালে পরিষ্কার রাখলেই হবে না, সঙ্গে শরীর মাজুনির কথা ভুলে গেলে চলবে না। এটি সবাই ব্যবহারের পর বাথরুমেই রাখেন। আর বাথরুম হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। তাই শরীর মাজুনি ব্যবহারের পর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার কোনো স্থানে ঝুলিয়ে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। 
  • প্রতিদিন যেমন গোসলের প্রয়োজন নেই তেমনি নিয়মিত চুল পরিষ্কার করারও প্রয়োজন নেই। যদি আপনার চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় বা শরীরচর্চার পর মাথার ত্বক ঘামে কিংবা নোংরা হয় তাহলেই কেবল চুল পরিষ্কার করতে পারেন। মাথার ত্বকে তৈলাক্তভাব না আসলে চুলে শ্যাম্পু করার দরকার নেই।
  • বাথরুমের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে একটি গ্র্যাব বার লাগানো আবশ্যক।
  • শুধু শীতকাল নয় গ্রীষ্মকালেও যদি আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার ত্বক বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে। বিশেষ করে যাদের ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি, একজিমা বা সোরিয়াসিস আছে তারা গরম পানি দিয়ে গোসলের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ৫-১০ মিনিট হট বাথ নিলে বিভিন্ন ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে।
  • গোসলের সময় সবাই কমবেশি ঝরনা ব্যবহার করে থাকেন।  তবে এটাও ভাবা উচিত ঝরনার মাথায় জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। তাই যখন আপনি পানি ছাড়বেন, ওই জীবাণুগুলো আপনার শরীরেই পড়বে। গরম পানি দিয়ে নিয়মিত মুছে, শাওয়ারহেড পরিষ্কার রাখবেন।
  • শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত থাকলে, ওই স্থানে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে তবে গোসল করা উচিত।
  • গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার না করলে ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক।
  • বাথরুমে এক্সহস্ট ফ্যান না থাকলে দ্রুত লাগানোর ব্যবহার করুন। বাথরুম বদ্ধ স্থান হওয়ার কারণে, সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধে।
Link copied!