প্রতিদিনই বাজার থেকে কাঁচা শাকসবজি কিনছেন। বর্তমানে কোনটা ভেজাল আর কোনটা টাটকা তা বোঝা দায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা টাটকা খাবারে ভেজাল মিশিয়ে দিচ্ছেন, যা বাজার থেকে কিনে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি। রান্না করে তা খাচ্ছি। যা খেয়ে ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ক্যানসারসহ নানা রোগ বাসা বাঁধে।
সবজি, দুধ, ডিম সবকিছুই এখন টাটকা পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যেখানেই টাটকা সবজি বা অন্য খাবার পাচ্ছেন সেখানেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। শহুরে জীবনে টাটকা খাদ্যশস্য না পেয়ে অনেক গ্রামেও ছুটে যাচ্ছেন।
উপায় নেই, কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই তো আর গ্রামে ছুটতে পারেন না। তাই ভেজালের মধ্যেই টাটকা খুঁজে নিতে হবে। সবজি টাটকা দেখাতে রং বা বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) গাইডলাইনে টাটকা সবজি চেনার কিছু উপায় জানিয়েছে। যা থেকে জানা যাবে সবজি কতটা তরতাজা।
সম্প্রতি টুইট বার্তায় এফএসএসএআই জানিয়েছে, তরতাজা সবজি পরীক্ষার জন্য তরল প্যারাফিন ব্যবহার করতে পারেন। সবজি এই তরলে মিশিয়ে হালকা হাতে ঘষে দেখুন। যদি সেই তরলের রং সবুজ হয়ে যায় তবে বুঝে নেবেন সবজিতে রঙ বা কেমিক্যাল মেশানো রয়েছে। আর রং অপরিবর্তিত থাকলে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। সেই সবজি নির্ভয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। কারণ এটি টাটকা সবজি।
এফএসএসএআই আরও জানায়, সবজি যে রং ব্যবহার করা হয়, এর নাম মালাচিট গ্রিন। এই কেমিক্যাল দিয়ে মাছের চিকিৎসা করা হয়। এছাড়া অনেক বস্ত্র শিল্প এবং খাবারে পরজীবীনাশক হিসাবেও ব্যবহৃত হয় এটি। ছত্রাকের আক্রমণ, প্রোটোজোয়ান সংক্রমণ এবং এর দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য সব রোগ থেকেও রক্ষা পেতে মালাচিট গ্রিন ব্যবহার করা হয়। কাঁচা মরিচ, মটর এবং পালং শাকের মতো সবুজ সবজিকে আরও সবুজ করতে এই কেমিক্যাল বেশি ব্যবহার হয়।
রান্নায় ব্যবহার করা হলুদ নিয়েও সাবধান করেছে এফএসএসএআই। সংস্থাটি জানায়, হলুদেও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। রান্নায় হলুদের রং ধরে রাখতে এই ক্যামিকেল মেশানো হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হলুদ গুঁড়ো বাজার থেকে না কিনে তা বেঁটে খাবেন কিংবা হলুদ কিনে নিজেই ভাঙিয়ে নিন।
প্রতিদিনের নাশতায় ব্যবহার হওয়া ডিম নিয়েও রয়েছে সতর্ক বার্তা। এফএসএসএআই-এর মতে, ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার এক কোয়ালিটি চেক করুন। একটি গ্লাসে বা পাত্রে পানি নিয়ে সেখানে ডিমটি রাখুন। যদি সেই ডিম ডুবে গিয়ে তলায় চলে যায়, তাহলে এটি ভেজালবিহীন। তবে ডিমটি যদি পানির উপরে ভেসে থাকে তবে বুঝবেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































