• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

যুদ্ধের সময় অনেকে ভয় পেয়ে থাকতে দেয়নি : আহসান হাবীব


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ০৭:৪২ পিএম
যুদ্ধের সময় অনেকে ভয় পেয়ে থাকতে দেয়নি : আহসান হাবীব

জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট, রম্যসাহিত্যিক এবং কমিক লেখক আহসান হাবীব। পুরো নাম ইবনে ফয়েজ মুহম্মদ আহসান হাবীব। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় মাসিক রম্যপত্রিকা ‘উন্মাদ’-এর প্রধান সম্পাদক। এছাড়া বেশ কিছু হাস্যরসাত্মক নাটক রচনা করে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী। বাবার স্মৃতিচারণ করেন এই লেখক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খাদিজা নিপা

 

সংবাদ প্রকাশ : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আপনার বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদকে কখন কোথায় কীভাবে পাকিস্তানিরা হত্যা করে?

আহসান হাবীব : মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবা ছিলেন বরিশাল জেলার পিরোজপুরে সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার। তখন কর্নেল আতিফ রশিদের নেতৃত্বে বাবাকে মে মাসের ৫ তারিখ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বলেশ্বর নদের তীরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেয় তারা।

সংবাদ প্রকাশ : আপনার বাবাকে কেন ধরে নিয়েছিল বলে আপনি মনে করেন?

আহসান হাবীব : আমার বাবার অপরাধ ছিল তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক অস্ত্র দিয়েছিলেন। এইটাই ছিল বাবার একমাত্র অপরাধ। সেজন্যই তাঁকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর কর্নেল আতিফ রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আমার মা আয়েশা ফয়েজ।

সংবাদ প্রকাশ : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আপনার মায়ের মামলাটিই ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রথম মামলা। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

আহসান হাবীব : মামলা তো অফিশিয়ালিই করা হয়েছিল। মনে হয় না সেই মামলার কিছু হয়েছিল। কারণ যুদ্ধাপরাধীরা তো বেশির ভাগই মুক্তি পেয়ে যায়।

সংবাদ প্রকাশ : আপনার যুদ্ধদিনের স্মৃতি শুনতে চাই।

আহসান হাবীব : তখন খুবই দুঃসময় ছিল আমাদের। সমস্ত বাড়ি আমাদের লুট হয়ে গিয়েছিল। আমরা তখন পালিয়ে গিয়েছিলাম। একটা গ্রামে ছিলাম কিছুদিন। অনেকে আশ্রয় দিয়েছে। আবার অনেকে ভয় পেয়ে থাকতে দেয়নি। কারণ এসময় একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল আমাদের আশ্রয় দিতে ভয় পেত।  বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি। তারপর বহু কষ্ট করে আমরা নানাবাড়ি গিয়েছিলাম। স্বাধীনতার বাকি সময় আমরা নানা বাড়িতেই ছিলাম।

কথাপ্রকাশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!