মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কীভাবে দেখছে পাকিস্তান? এই প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বাংলাদেশে চালানো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার দায় এখনো স্বীকার করেনি দেশটি।
পাকিস্তান এখনও এই দিনটিকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলতে নারাজ। শনিবার (২৬ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি থেকে এ বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যায়।
পাকিস্তান দূতাবাস বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানায়নি। তবে জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
পাকিস্তান দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে উষ্ণ অভিনন্দন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ। দেশ ও জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
পাকিস্তানের বিবৃতিতে দেখা যায়, একবারের জন্যও ‘স্বাধীনতা দিবস’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, তারা এখনও বাংলাদেশকে এ স্বীকৃতি দিতে চায় না।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।