২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। এদিকে খোদ রাশিয়াতেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছে রুশ নাগরিকেরা।
রবিবার বিবিসি জানায়, রাশিয়ার ২১টি শহরে ছয়শোর বেশি যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ওভিডি-ইনফো এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে তারা আরও জানায়, এদিন সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক শহরেই দুশোর বেশি বিক্ষোভকারী আটক হয়েছে। ১১ দিন আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই চলছে ধরপাকড়। এপর্যন্ত সর্বমোট ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ওভিডি-ইনফো।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। প্রতি বছরই বিভিন্ন ইস্যুতে এমন ধরপাকড় চলে।
সম্প্রতি রাশিয়াজুড়ে এই বিক্ষোভের ডাক দেন কারাবন্দী রুশবিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে বেশ কিছু টুইট করেছেন তিনি।
টুইটারে নাভালনি লিখেছেন, “আমরা রুশরা শান্তিপ্রিয় জাতি। অথচ খুব কম লোকই এখন সেটা বিশ্বাস করবে। অন্তত রুশদের ভিতু জাতি হওয়াটা মানায় না। দয়া করে আপনারা যুদ্ধ দেখেও না দেখার ভান করে থাকবেন না।”
পুতিনের সামরিক অভিযানের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে নাভালনি আরও বলেন, “এটি একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশক। এই যুগেও আমরা মিসাইল ও বোমা হামলায় মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলার খবর দেখতে হচ্ছে। টেলিভিশনে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরুর হুমকি দেখতে পাচ্ছি।”
বিবিসি জানায়, বর্তমানে পূর্ব মস্কোর সুরক্ষিত কারাগারে বন্দী আছেন এই নেতা। সেখান থেকেই এসব টুইট করেছেন তিনি।
পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি ২০১৮ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পত থেকেই বিভিন্ন দফায় কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ২০২০ সালে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়।