ইউক্রেনে চলমান আগ্রাসন বন্ধে তুরস্কে পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। তুর্কির রাজধানী ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় এই বৈঠক শুরুর কথা রয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি
দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর মুখোমুখি আলোচনায় বসছেন মস্কো ও কিয়েভের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর ভাগ্য, সেই সঙ্গে ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক দখলীকৃত ক্রিমিয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আলোচনায় অংশ নিতে যাওয়া ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে চায়। এটিই এখন তাদের প্রধান অগ্রাধিকার। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আগের সব বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। শুরু থেকেই কিয়েভের কাছে চারটি প্রধান দাবি জানিয়ে আসছিল মস্কো। এর মধ্যে নিরপেক্ষ থাকা ও ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার দাবি মেনে নিয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রতিনিধিদল বলছে, ইউক্রেনকে বাকি দাবিগুলো মানতে হবে। দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাতে দেশটি রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। এছাড়া ইউক্রেনে রুশ ভাষার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আর নাৎসি নির্মূলের বিষয়টিও ইউক্রেনকে মেনে নিতে হবে।
যদিও বিবিসি বলছে, রাশিয়ার নাৎসি নির্মূলের দাবি মেনে নেওয়া ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, তার অনেক আত্মীয় ইহুদি গণহত্যার সময় মারা যান। এমনকি তিনি নিজেও একজন ইহুদি।