• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ‘বর্ণবাদী আচরণ’ করছে ইসরায়েল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০২:৪৮ পিএম
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ‘বর্ণবাদী আচরণ’ করছে ইসরায়েল

অবৈধ বসতি স্থাপন, ভূমি দখল আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বেশ পুরনো। এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সংস্থাটির নতুন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডের ভেতর ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েল যে নীতি অনুসরণ করছে বা যেসব আইন প্রয়োগ করছে কিংবা যে ধরণের আচরণ করছে তা ‘আ্যাপারথাইড’ অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের সমান। ইসরায়েলিদের এমন অবস্থানের নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।

বিবিসির খবরে উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত। এতে বলা হয়, ইসরায়েল এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে যা স্পষ্টত নির্যাতনমূলক এবং ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর কর্তৃত্ব কায়েম করতেই তা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনের আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “ইহুদিদের স্বার্থে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের ওপর কর্তৃত্ব ও আধিপত্য বজায় রেখেই তারা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে।”

আন্তর্জাতিক আইনে ‘অ্যাপারথাইড’ তথা বৈষম্যমূলক আইনের মাধ্যমে কোন জনগোষ্ঠীর ওপর কর্তৃত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শাসকরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীদের ওপর এই কুখ্যাত নীতি প্রয়োগ করেছিল।

তবে অ্যামনেস্টির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল সরকার। তারা বলছে, এই প্রতিবেদনের সব কিছুই ‘মিথ্যা অভিযোগে’ ঠাসা।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি “ইসরায়েলকে ঘৃণা করে এমন সব সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অসংলগ্ন সব তথ্যই পুনরাবৃত্তি করেছে অ্যামনেস্টি। ইহুদি রাষ্ট্র হিসাবে টিকে থাকার ইসরায়েলের অধিকারকে অগ্রাহ্য করেছে এই প্রতিবেদন।”

এছাড়াও সংস্থাটির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে ইসরায়েলকে দানব বানানোর চেষ্টা করারও অভিযোগ করেছে দেশটি।

Link copied!