যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। অর্থকষ্টের কারণে পরিবারকে সহায়তা করতে জীবিকা নির্বাহে নেমেছে শিশুরা। স্কুল বাদ দিয়ে সড়কের পাশে জুতা পালিশের কাজ করছে অনেকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজধানী কাবুলের বিভিন্ন সড়কে কাজ করতে থাকা এসব শিশু সাংবাদিকদের জানায় তাদের পরিবারের দুরবস্থার কথা।
বাবা-মায়ের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলগামী অনেক শিশুও কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে কাজে। সড়কে চা বিক্রির পাশাপাশি কাগজ কুঁড়িয়েও দু পয়সা রোজগারের চেষ্টা করছে সবাই।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগেও, কয়েক হাজার আফগান শিশু দারিদ্র্যের কারণে শিশুশ্রমে যুক্ত ছিল। তবে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটিতে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। অনাহারে ভুগছে লক্ষাধিক শিশু।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, আফগানিস্তানে ৪০ লাখের বেশি মানুষ অনাহারে রয়েছে। অন্তত পাঁচ লাখ শিশু তিন মাসের মধ্যে অপুষ্টিতে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক দাতব্য সংস্থা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বেকারত্ব বেড়েছে বহুগুণে।
হতদরিদ্র পরিবারগুলো তাদের মেয়েদের যৌতুকের বিনিময়ে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। সন্তানদের বিক্রিও করছে অনেকে।
বিশ্বের অন্যতম ত্রাণ সহায়তানির্ভর দেশ আফগানিস্তান। পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির প্রায় আড়াই কোটি তথা জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষেরই পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।