ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ পেয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় এক মাস ধরে ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে অভিযোগ করেছে পেন্টাগন।
সোমবার (২১ মার্চ) মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জন কিরবি জানান, রুশ সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন নিয়ে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করে সেগুলোকে নথিভুক্ত করতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগন মুখপাত্র বলেন, “রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর অপরাধের আরও স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি আমরা। এসবের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য আমরা সহায়তা করছি।”
এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি অভিযোগ করেন, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অন্যায়’ যুদ্ধ চালাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের টার্গেট করছে এবং নির্বিচার আক্রমণ করছে।”
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। এ ধরনের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য বলে হুঁশিয়ারি দেয় মস্কো।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দফায় দফায় দুই পক্ষ বৈঠক করেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মস্কো ও কিয়েভ। এর প্রায় এক মাসের মাথায় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ থাকার দাবি করল ওয়াশিংটন।