• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেরাউনের উপাসনালয়ে যা পাওয়া গেল!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
ফেরাউনের উপাসনালয়ে যা পাওয়া গেল!

মিশরের ফারাও দ্বিতীয় রামসেসের (ফেরাউন) উপাসনালয় থেকে ২ হাজারের বেশি ভেড়ার মাথার মমির সন্ধান পেয়েছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ। ভেড়ার মাথার মমি ছাড়াও সেখানে কুকুর, ছাগল, গরু, হরিণ ও বেজির মাথার মমিও পাওয়া গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার দেশটির পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মিশরের দক্ষিণাঞ্চলীয় অ্যাবাইডোস শহরের অবস্থিত ওই উপাসনালয়টি থেকে ২ হাজারের বেশি ভেড়ার মাথার মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ৪৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

প্রাণীর এসব মমি ছাড়াও প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ৪ হাজার বছরের পুরোনো ৫ মিটার পুরু দেয়ালসহ একটি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। প্রাচীন কয়েকটি মূর্তি, বৃক্ষ, চামড়ার পোশাক ও জুতাও সেখানে পাওয়া গেছে।

আমেরিকান মিশনের প্রধান সামেহ ইস্কান্দার বলেন, “এগুলো দ্বিতীয় রামসেসের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাত দশকেরও বেশি সময় রাজত্ব ছিল দ্বিতীয় রামসেসের। তার সময়কাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০৪ থেকে ১২৩৭ পর্যন্ত।”

মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটিসের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেন, “এই আবিষ্কারগুলো দ্বিতীয় রামসেসের মন্দির এবং খ্রিষ্টপূর্ব ২৩৭৪ থেকে ২১৪০ এবং টলেমিক যুগের ৩২৩ থেকে ৩০ খ্রিষ্টপূর্বের মধ্যকার নির্মাণকার্য সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।”

দেশটির পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় রামসেস মারা যাওয়ার এক হাজার বছর পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এই মাথাগুলো আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় রামসেস ‘মহান রামসেস’ হিসেবেও পরিচিত।

মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটিসের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি জানান, কায়রো থেকে প্রায় ২৭০ মাইল (৪৩৫ কিমি) দক্ষিণে অবস্থিত অ্যাবিডোস শহর। মিশরের অন্যতম প্রধান এবং কম পরিদর্শন করা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এটি। এটি একটি প্রাচীন মিশরীয় রাজপরিবারের জন্য বড় ও নকশা করা কবরস্থান। যেখানে বিস্তৃত সমাধির স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে এবং দেবতা ওসিরিসের উপাসনার জন্য তীর্থস্থান ছিল।

মিশরের ঊনবিংশতম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও রাজা ছিলেন তিনি। প্রায়ই তাকে মিশরীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে মহান, সবচেয়ে উদযাপিত ও সবচেয়ে শক্তিশালী ফারাও হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মমিগুলো থেকে টলেমাইক সময়কাল নিয়ে নানা তথ্য জানা যাবে। টলেমাইক রাজবংশ, যাকে কখনো কখনো ল্যাগিড রাজবংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। টলেমীয় রাজ্য ছিল মিশরের একটি প্রাচীন হেলেনীয় রাজ্য।

খ্রিস্টপূর্ব ৩০৫ অব্দে আলেকজান্ডারের সঙ্গী প্রথম টলেমি সোটার এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং খ্রিস্টপূর্ব ৩০ অব্দে ক্লিওপেট্রার মৃত্যু পর্যন্ত এই রাজ্যটির অস্তিত্ব বজায় ছিল। প্রায় তিন শতাব্দীকাল রাজত্বকারী টলেমীয় রাজবংশ ছিল দীর্ঘতম ও সর্বশেষ প্রাচীন রাজবংশ।

Link copied!