দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নিজেদের সীমান্তে ঢুকে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্য ট্রাভিস কিংকে নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার দাবি, ট্রাভিস কিং ‘অমানবিক অসদাচরণ ও জাতিগত বৈষম্য’ থেকে বাঁচতে উত্তর কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএতে পিয়ংইয়ং কর্তৃপক্ষ এই মন্তব্য করে বলে জানায় আল-জাজিরা। গত ১৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সৈনিক ট্রাভিস কিং উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।
উত্তর কোরিয়ার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাভিস কিং স্বীকার করেছেন যে তিনি অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়েছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল উত্তর কোরিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়া।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাভিস কিং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অমানবিক অসদাচরণ ও জাতিগত বৈষম্যের জন্য পালিয়েছেন। তাকে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জিম্মায় রাখা হয়েছে। তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা বিশ্বাস করে ট্রাভিস ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত পার হন এবং তিনি নিজেকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান।