• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫
এমপি আনার খুন

সিসিটিভি ক্যামেরা কাপড়ে ঢেকে দিয়েছিলেন শিলাস্তি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
সিসিটিভি ক্যামেরা কাপড়ে ঢেকে দিয়েছিলেন শিলাস্তি
শিলাস্তি রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদ রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হেফাজতে। তাকে রাখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে।

গত ২৬ মে আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ভবানী ভবনে জেরা করেছেন জিহাদকে। জেরার আগে ঢাকার গোয়েন্দারা হত্যাকাণ্ডের স্থান নিউ টাউনের সেই ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন।

জেরার মুখে জিহাদ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে জানা যাচ্ছে, গত ১৩ মে দুপুর তিনটার দিকে ফয়সাল এবং আমানুল্লাহর সঙ্গে এমপি আনার ফ্ল্যাটে ঢোকেন। ফ্ল্যাট হলেও সেই ভবনের ভেতরেই রয়েছে দুটি তলা। এমপি ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় অভিযুক্ত শিলাস্তি রহমান ছিলেন উপরের তলায়।

জিহাদের ভাষ্যমতে, ফ্ল্যাটে ঢোকার পরেই ক্লোরোফর্ম ভেজানো কাপড় এমপি আনারের মুখে চেপে ধরা হলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে রান্নাঘর সংলগ্ন জায়গায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা।

জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ফ্ল্যাটের যে হলঘর যেখানে বসার ও খাওয়ার জায়গা, সেখানে লাগানো ছিল একটি সিসিটিভি ক্যামেরা। সাধারণত যারা ঘরের কাজ করেন তাদের ওপরে নজরদারির জন্য অভিজাত ফ্ল্যাটগুলিতে এসব সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে।

এমপি আনারকে হত্যার আগে সেই সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ ঢেকে দেয়া হয়েছিল। আর সেই কাজটা করেছিলেন শিলাস্তি রহমান। তিনি নিজে কাপড় আর লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে ক্যামেরাটি ঢেকে দেন।

তবে সেই সিসিটিভির ফুটেজ কার কাছে আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে তদন্ত করছে দুই দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

তবে জিহাদ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা কাপড়ে ঢেকে দেয়ার পর হত্যা করা হয় এমপি আনারকে। এরপর মরদেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নেয়া হয়। হাড় ও মাংস আলাদা করা হয়। শরীর থেকে মাথাও কেটে ফেলা হয়। দেহের মাংস আর মাথার খুলি টুকরা টুকরা করে জিহাদই।

Link copied!