যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের সামরিক তৎপরতার ওপর নজরদারির জন্য মহাকাশে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে স্যাটেলাইটটি সাগরে আছড়ে পড়েছে। প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর একই ধরনের আরও স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং।
এর প্রায় ২০ দিন পর গত শুক্র ও রোববার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সবশেষ মিটিংয়ে এ ঘটনাকে ‘গুরুতর ব্যর্থতা’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুক্র ও রোববার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার (ডব্লিউপিকে) কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কর্মকর্তা ও গবেষকদের ব্যর্থ সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন।
এর আগে গত ৩১ মে নজরদারির জন্য মহাকাশে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট ‘চেওলিমা-১’ পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। যা কোরিয়ার পশ্চিম সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমে স্বাভাবিকভাবে উৎক্ষেপণ হয়। প্রথম ধাপ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক স্টার্ট আপের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এটি।
২০১৬ সালের পর মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রথম প্রচেষ্টা ছিল এটি। যদি উৎক্ষেপণটি সফল হতো তাহলে প্রথমবারের মতো পিয়ংইয়ংয়ের কোনো গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে অবস্থান করত।
উত্তর কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর পার্শ্ববর্তী দুই দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান মিলে প্রায়ই কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক মহড়া চালায়। উত্তর কোরিয়া এসব মহড়াকে তার বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের রেহার্সেল বলে বিবেচনা করে।