সারা দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রিল’ তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন স্ত্রী। তাই স্বামী বিরক্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেন। সম্প্রতি ভারতের কর্নাটকের মান্ডিয়ার কোপ্পালু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত গৃহবধূর নাম পূজা এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম শ্রীনাথ। স্ত্রীকে খুনের পর শ্রীনাথ পালিয়ে ছিলেন। কয়েক দিন পর ফিরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ৯ বছর আগে পূজা ও শ্রীনাথের বিয়ে হয়। এই দম্পতির এক কন্যাসন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রিল’ বানাতে শুরু করেন পূজা, যা ধীরে ধীরে তার অভ্যাসে পরিণত হয়। পূজা সারা দিন ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে পূজার প্রায়ই ঝগড়া লাগত। একপর্যায়ে পূজা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ করেন শ্রীনাথ। সর্বশেষ তাদের মনোমালিন্য চরম পর্যায়ে পৌঁছালে শ্রীনাথ পূজাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।
পুলিশ আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শ্রীনাথ জানান পূজাকে খুনের পর মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেন। এতে তাকে সাহায্য করেন তার শ্বশুর, অর্থাৎ পূজার বাবা শেখর। শেখরের সাহায্যে পূজার মৃতদেহে ভারী পাথর বেঁধে তা নদীতে ভাসিয়ে দেন শ্রীনাথ। শ্রীনাথ এবং শেখর বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।