দখলকৃত পশ্চিমতীরে জেনিনে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কিশোরসহ অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি ওই মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে। নিহতরা হলেন- ২৯ বছর বয়সী ইউসেফ শ্রীম, ২৮ বছর বয়সী নিদাল খাজিম এবং ১৬ বছর বয়সী কিশোর ওমর আওয়াদিন। অবশ্য নিহত চতুর্থ ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইউনিফর্ম ছাড়াই সাদা পোশাকে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা জেনিনের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করে। মূলত গত বছর থেকে ইসরায়েল পশ্চিমতীরে এই ধরনের অভিযান জোরদার করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী ‘জেনিন শরণার্থী শিবিরে’ অপারেশন চালিয়েছে। জেনিন উত্তর পশ্চিম তীরের এলাকাগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে দমন করার প্রয়াসে ইসরায়েল এসব এলাকায় সামরিক অভিযান জোরদার করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগামী ১৯ মার্চ মিশরের লোহিত সাগরের রিসোর্ট শহর শার্ম এল-শেখে ইসরায়েলের সাথে একটি নিরাপত্তা বৈঠকে অংশ নেবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুর ওদেহ রামাল্লা থেকে আল জাজিরাকে বলেছেন, ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের এই বৈঠকে উপস্থিত হওয়া উচিত নয়। কারণ ফিলিস্তিনি জনমত ‘প্রবলভাবে এর বিরুদ্ধে।’ ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের উচিত ফিরে যাওয়া, তার জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করা এবং ইসরায়েলি সরকারের সাথে কাজ করার পরিবর্তে ফিলিস্তিনি বিভেদের বিষয়ে কাজ করা। এছাড়া ওই বৈঠকে মিশর, জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালে ইসরায়েলি অভিযানে ১৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। নিহত এসব ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।