ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৯ অক্টোবর) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট এই ঘোষণা দেন।
ইওয়াভ গ্যালান্ট বলেন, “আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস–সেখানে সব কিছুই বন্ধ থাকবে। আমরা ‘মানব পশুদের’ সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।”
গাজার আকাশ পথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কোন কোন ব্যক্তি যেতে পারবেন এবং কী কী পণ্য ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। একইভাবে গাজা সীমান্তে লোকজনের আসা–যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মিশর।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজার বাসিন্দাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভর করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিদিনকার খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন।
গাজা সীমান্তের বড় অংশ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে, যাতে এটা হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন হামাস সদস্যরা। এ সমায় তারা নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালায়। পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাসদস্য ও বেসামরিক লোকজনকে বন্দী করেন।
হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলের ৭০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর জবাবে গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।