ভারতে একটি অনুষ্ঠানে এক কিশোরের ঠোঁটে চুম্বনের পর জিহ্বা বের করে দিয়ে ‘চুষে’ দিতে পারবে কি না জানতে চাওয়া তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি ধর্মশালায় ‘এমথ্রিএম ফাউন্ডেশন’ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। ওই কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সেখানে ওই ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বৌদ্ধ এই ধর্মগুরুর দপ্তর বলেছে, তার কথায় আঘাত লাগতে পারে এমন সম্ভাবনা থেকে কিশোর ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দালাই লামা।
তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতার দপ্তর আরও বলছে, “সাক্ষাতের সময় তিনি সরল মনে ও কৌতুক করে লোকজনের সঙ্গে দুষ্টুমি করে থাকেন। এমনকি সেটা প্রকাশ্যে এবং ক্যামেরার সামনেও। এই ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।”
চীনা শাসনের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার পর ১৯৫৯ সাল থেকে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন তিব্বতি বৌদ্ধদের প্রধান ভিক্ষু ও আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা।
গর্ত মার্চে সংস্থাটি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ওই অনুষ্ঠানের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করে।
ভিডিওতে ওই কিশোর দালাই লামাকে আলিঙ্গন করতে পারবে কি-না তা জানতে চায়। জবাবে আধ্যাত্মিক এই নেতা তার গালের দিকে চুম্বনের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘প্রথমে এখানে’ এবং ছেলেটি তার গালে চুম্বন করে। পরে তাকে আলিঙ্গনও করে।
এরপর কিশোরের হাত ধরে নিজের ঠোঁট নড়াচড়া করে দালাই লামা বলেন, ‘আমি ভাবছি এখানেও’ এবং ছেলেটির ঠোঁটে চুম্বন করেন তিনি।
ওই কিশোরের কপালের কাছে নিজের কপাল এগিয়ে নিয়ে জিহ্বা বের করার আগে বলেন, ‘আমার জিহ্বা চুষে দাও।’ দালাই লামার এমন আবদারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন হেসে ওঠে। পরে দালাই লামা জিহ্বা বের করে দেয়। ওই কিশোর কিছুটা ইতস্তত বোধ করলেও দালাই লামার নির্দেশ মতো জিহ্বা চুষতে ঝুঁকে যায়। এরপর কিশোর মুখ সরিয়ে নেয় এবং দালাই লামাও তাই করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নেটিজেনরা কিশোরের প্রতি দালাই লামার এমন আচরণকে অসঙ্গত এবং বিরক্তিকর বলে মন্তব্য করেন।