• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পাঁচ বছরের মধ্যেই আসছে ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের টিকা!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
পাঁচ বছরের মধ্যেই আসছে ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের টিকা!

মরণব্যাধি ক্যানসার থেকে বাচঁতে মানুষকে আশার আলো দেখানোর চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যালস ফার্ম মডার্নার একদল গবেষক।

এই গবেষকরা ক্যানসার, হার্টের রোগ এবং অটোইমিউনের কার্যকরী টিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেটি বাঁচাতে পারে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের আশা ২০৩০ সালের মধ্যেই তাদের টিকা মানুষের দেহে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এই টিকা নিয়ে গবেষণাগুলো দারুণ আশা দেখাচ্ছে। কিছু গবেষক বলছেন, কোভিড টিকাকে এ জন্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অল্প সময়ে কোভিডের টিকা বের হওয়ায় বিষয়টি গবেষণাকে আরও গতি দিয়েছে। 

মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব আমরা। আমাদের কাছে ভ্যাকসিন থাকবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি কোটি মানুষের প্রাণ না বাঁচালেও লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে।”

বার্টন বলেন, “ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেখানে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসার সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। আমি মনে করি আমাদের কাছে বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ-ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।”

এ ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত বেশ ভালো সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাদের কয়েকজন বলছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ নিয়ে কাজ করছেন তারা। কিন্তু তারা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন ১২-১৮ মাসে মধ্যে।

এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে বিজ্ঞপ্তির মতো এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

Link copied!