আসন্ন শীতে ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে ব্রিটেনে। তাই দেশটির নাগরিকরা যেন শীতকালে তাদের ঘর-বাড়িতে গ্যাস বা বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলক কম করেন সেজন্য প্রচার চালাবে সরকার। বিবিসি জানায়, একটি পাবলিক ইনফরমেশন ক্যাম্পেইন চালুর বিষয়ে মন্ত্রীরা আলোচনা করছেন।
দেশটির বাণিজ্য ও জ্বালানি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এই প্রচার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়ের মধ্যে আছে, প্রয়োজনীয় সময় ব্যতীত বাসা-বাড়ির থার্মোস্ট্যাট বন্ধ করা এবং রাতের বেলায় যেহেতু বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা কম থাকে, তাই সেসময় ডিশওয়াশার বা ওয়াশিং ম্যাশিন ব্যবহার করা।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ইতোমধ্যে লোডশেডিং সম্পর্কে জানাতে ভোক্তার ফোনে বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই ব্যবস্থাটি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটেনের কেউই ব্ল্যাকআউট কামনা করে না। তাই এমন অস্বস্তিকর ও দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প কারখানাসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে। আর শীতকালে যেহেতু বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়, তাই সাধারণ জনগণের সচেতনতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফগেম বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আসন্ন শীতে গ্যাসের ঘাটতি হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে। কারণ শীতের আগে ইউরোপে গ্যাসের মজুদ উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কমে গেছে।
সরকারি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্রিটেনে গ্যাসের ঘাটতি থাকলে এবং শীতে আবহাওয়া গুরুতর হলে আগামী জানুয়ারিতে চার দিনের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে পারে পুরো দেশ।