• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শরণার্থী শিবিরে হামলা, হামাস কমান্ডার নিহতের দাবি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম
শরণার্থী শিবিরে হামলা, হামাস কমান্ডার নিহতের দাবি
ইসরায়েলি বোমা হামলায় মাটিতে মিশে গেছে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। ছবি-সিএনএন।

গাজার শরণার্থী শিবির জাবালিয়াতে সামরিক বিমানের হামলায় এক হামাস কমান্ডার সহ আরও ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আক্রমণটি এমন এক জায়গায় হয় যেখানে খাদ্য, জ্বালানিসহ অন্যান্য সামগ্রীর সংকট রয়েছে।

মঙ্গলবার হামাসের করা হামলায় ইসরায়েলের ১১ জন সৈনিক নিহত হয়। যা ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে করা হামাসের হামলার পর এটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি তাদের। যেখানে প্রায় ৩০০ সৈনিক ও ১১০০ এর কাছাকছি সাধারণ নাগরিক নিহত হন বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়।

ওই ঘটনায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বেতার জানায়, নিহতদের বেশিরভাগই ছিল পথচারী, যাদের যানবাহনগুলো এন্টি আরমেরা মিসাইলে আটকে ছিলো।

ইসরায়েল পরবর্তী সপ্তাহে হামাসের বোমা হামলার কারণে তাদের সেনাবাহিনী গাজায় পাঠায়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির, জাবালিয়াতে বিমান থেকে করা বোমা হামলা পরিকল্পিত ও ইসরায়েলে করা হামলার ফল। এ হামলায় হামাস কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

আইডিএফ এর মূখপাত্র জানান, সেসময় বিয়ারির সঙ্গে টানেলে থাকা আরও অনেক হামাস সদস্য মারা যান।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সাংবাদিকদের বলেন, “হামাসকে ধ্বংস করতে যে কোনো কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। এ যুদ্ধ ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ ছাড়া কিছুই না।” তিনি আরও বলেন, “হামাসের সন্ত্রাসীদের কাছে এখন দুটি পথ খোলা আছে – হয় মৃত্যু না হলে নিশর্ত আত্মসমর্পণ।”

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেন, সেদিন শিবিরে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন না এবং ইসরায়েলের এ দাবি সাধারণ নাগরিক হত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়ার অজুহাত মাত্র। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানান, এখন পযন্ত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছে।

হামাসের একজন সদস্য বলেন, “জাবালিয়াতে ৪০০ জন নিহত হয়। সেখানে থাকা ঘরবাড়িগুলো ১৯৪৮ সালে হওয়া ইসরায়েলের যুদ্ধের পর থেকে রয়েছে। ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় থাকা মানুষদের উত্তরাঞ্চলে চলে আসার জন্য সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও অনেকে দক্ষিণাঞ্চলে থেকে গিয়েছিল।

এদিকে ইউএন ও অন্যান্য সহায়তা প্রধানরা বলেন, “ইলেকট্রিসিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলো আহতদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে ব্যার্থ হচ্ছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ এখন অনেক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

বুধবার থেকে পুনরায় সব ধরনের যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে বলে জানিয়েছে গাজার সবচেয়ে বড় টেলিযোগাযোগ সংস্থা পালিটেল।

রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল সাদি জানান ইসরায়েলি সৈন্যদের অপারেশনে অন্তত ৩ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করা হয়। সূত্র-রয়টার্স।
 

Link copied!