রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘বিশ্ব ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণ’ নিয়ে আলোচনার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন এএনসি দলের কর্মকর্তাদের রাশিয়া পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১ এপ্রিল) এএনসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এএনসি’র দীর্ঘদিনের মিত্র ও রাশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির আমন্ত্রণে সফরটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, আলোচনায় নব্য ঔপনিবেশিকতা এবং পূর্বের বিরাজমান একমেরু বিশ্বের পরিণতির বিপরীতে বৈশ্বিক ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মস্কো দীর্ঘদিন ধরেই আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে। পুতিন শুক্রবার পশ্চিমা নিয়ন্ত্রণ কমাতে নতুন এক পররাষ্ট্র নীতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এনএনসি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিশনের প্রধান ওবেদ বাপেলা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলটি বৃহস্পতিবার মস্কো পৌঁছায়। রোববার পর্যন্ত তাদের থাকার কথা রয়েছে।
আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। এর সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন।
ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়া এবং চীনের সাথে একটি যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছিল।
এ মহড়ার মধ্যদিয়ে তিন মহাদেশের তিন শক্তিশালী দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করা হয়। তবে মহড়ায় প্রিটোরিয়ার অংশগ্রহণকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতি ‘সমর্থন’ হিসেবে দেখে পশ্চিমা দেশগুলো।
যৌথ এ নৌমহড়ার আনুষ্ঠানিক নাম ‘মোশি ২’। দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়ানা ভাষায় শব্দ মোশি অর্থ ধোঁয়া। এই মহড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নৌবহরের পাশাপাশি ৩৫০ সেনা অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এসএএনডিএফ)।
এ মহড়ায় নিজেদের জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী অ্যাডমিরাল গোরশকোভ যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া। অ্যাডমিরাল গোরশকোভ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রুশ জাহাজ অংশ নিয়েছে। তিনটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চীন। এর মধ্যে একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট ও একটি সহায়ক জাহাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রাশিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক রয়েছে। বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ক্রেমলিন এএনসিকে সমর্থনের পর থেকে উভয়ের মধ্যে এ সম্পর্ক তৈরি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :